
মো. দুলাল সরকার (৩৯)। পেশায় দুরপাল্লার বাসচালক। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের সৌদিয়া পরিবহনের বাস চালান তিনি। তবে যাত্রী আনা-নেওয়ার মধ্যে বাসের ড্যাশবোর্ডে ইয়াবার চালানও আনেন তিনি। এজন্য নিজস্ব পাইকারি ক্রেতার সিন্ডিকেটও গড়ে তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সদস্যরা। সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার বাস আটকে তল্লাশি করেন ডিএনসি সদস্যরা। এরপর ড্যাশবোর্ডে মেলে ইয়াবার ওই বড় চালান।
ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএনসি ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, সৌদিয়া পরিবহন বাসের চালক দুলাল ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছেন, এমন খবরে ভোর ৪টার দিকে তারা যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেন। বাসটি (চট্ট মেট্রো-ব-১১-১০৪২) আসার পর সেটি তল্লাশি করা হয়। তবে শুরুর দিকে কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে চালক দুলাল সরকারের দেহ তল্লাশি করে কিছু ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে চালক নিজেই বাসের ড্যাশবোর্ড থেকে ইয়াবাগুলো বের করে দেন।
ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, দুলাল কক্সবাজার থেকে অন্তত ১৬ বার ইয়াবার চালান ঢাকায় এনেছেন। তার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে গতিবিধি মনিটর করা হচ্ছিল। এ চালান তিনি ঢাকায় দুই থেকে তিনটি স্থানে সরবরাহ করেন। এজন্য তিনি নির্ধারিত কয়েকজন লোক নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। দুলাল বাসে করে ঢাকায় ইয়াবা আনার পর তা সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাইকারি মাদক কারবারিদের কাছে পৌঁছে দিতেন। তার সিন্ডিকেটের আরও কয়েক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে।