
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। গতকাল সোমবার আসামিপক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান, ‘অর্থ আত্মসাতের মামলার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গত বছর রায় দেন। তাতে জমির উদ্দিন সরকারকে বিদেশে চিকিৎসা বাবদ নেওয়া ২৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
সম্প্রতি বিচারিক আদালত ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন। আমরা দু-এক দিনের মধ্যে আদালতে টাকা জমা দেব।’
জানা যায়, বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো করেন।
পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে জমির উদ্দিনের আবেদনে হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরে তৃতীয় বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
এরপর জমির উদ্দিন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন। তবে রায়ে আপিল বিভাগ চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে জমির উদ্দিন সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন।