জাকির হোসেন লিটন
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১১:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন নীতিমালায় সাড়া নেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন নীতিমালায় সাড়া নেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন নীতিমালা প্রণয়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাড়া পাচ্ছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়। এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পরামর্শ বা মতামত দেয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়। ফলে প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এমন অনীহায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। ফলে এ বিষয়ে মতামত বা সিদ্ধান্ত দিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে আবারও তাগাদা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৩তম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. শাহে আলম বলেন, যত্রতত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন/নির্মাণ না করে স্থানীয় সরকারের সুনির্দিষ্ট একটা নীতিমালার আলোকে উপযুক্ত স্থানে সেগুলো হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ সময় ‘কবরস্থান স্থাপন ও শ্মশানঘাট নির্মাণ বা উন্নয়নের বিষয়ে’ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, রাস্তার পাশে কবরস্থান স্থাপন/নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা জরুরি।

বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, অন্যান্য অবকাঠামোর পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র স্থাপন করায় আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে এটি নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন একটি কমিটি করে তার মাধ্যমে এসব কাজ করলে ভালো হয়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, কবরস্থান স্থাপন ও শশ্মানঘাট নির্মাণ বা উন্নয়নের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। আর সেজন্যই তাদের মতামত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। তাই আবারও তাগাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংসদীয় কমিটির সূত্রে জানা গেছে, এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করা যাবে না—এমন বিধান রেখে একটি নীতিমালা করার প্রস্তাব তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি।

সূত্র আরও জানায়, ২০২১ সালের ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদীয় কমিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং কবরস্থান ও শ্মশান স্থাপনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে। একই বছর ১৯ আগস্ট কমিটি তাদের ৯ দফা প্রস্তাব দাখিল করে। আর বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলে তারা মতামত দেয়নি। ফলে এবারও ধর্ম মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদীয় কমিটি।

এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, নীতিমালা চূড়ান্ত করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমরা তাদের মতামতের অপেক্ষায় আছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

বৃষ্টির আশায় দেশজুড়ে চলছে যত আয়োজন

সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

পরবর্তী কোচ হিসেবে স্লটকে পছন্দ লিভারপুলের

কোড সামুরাই হ্যাকাথনের দ্বিতীয় পর্বের ফল প্রকাশ, ৪৬ দল নির্বাচিত

নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম

ব্র্যাকে চাকরির সুযোগ, থাকছে না বয়সসীমা

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর হামলা, বোমা বিস্ফোরণ

সড়কে প্রতিদিন ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

১০

ইন্টারনেট নিয়ে দুঃসংবাদ দিল বিএসসিপিএলসি

১১

 তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না : বিদ্যুৎ সচিব

১২

বক্তৃতার মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী

১৩

মার্কেটিং অফিসার নেবে কর্ণফুলী গ্রুপ

১৪

রাঙ্গুনিয়ায় বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা

১৫

ছাত্রলীগের জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা

১৬

মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

১৭

শিশুসন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা

১৮

বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজারও মুসল্লি

১৯

টয়লেটে মূত্রত্যাগ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে পরীক্ষা

২০
*/ ?>
X