
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা মৎস্যজীবী পাড়া এলাকায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের এক যুগেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে প্রায় ১৫০ পরিবারের নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষই চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচির অর্থায়নে গাড়ফা মৎস্যজীবী পাড়ার এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সে সময় সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ ছাড়া নিচু সড়ক সরকারিভাবে মাটি ভরাট না করায় বছরের অধিকাংশ সময় পানির নিচে ডুবে থাকে। একদিকে সংযোগ সড়ক না থাকা, অন্যদিকে নিচু সড়কের কারণে সেতুটি জনসাধারণের কোনো কাজেই লাগছে না। তাই বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুতে উঠছেন। এদিকে সেতুর অন্য পাড়েও সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক সময়েই শিশু ও বৃদ্ধরা সেতুতে ওঠানামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য রুস্তম আলী বলেন, আমি ইউপি সদস্য থাকাকালে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবে দৌড়ঝাঁপ করে সেতুটি নির্মাণ করিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ১২ বছর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সংযোগ সড়কসহ বাকি সড়কে মাটি ফেলতে পারিনি। বাধ্য হয়ে আমি নিজের টাকা খরচ করে সেতুর দুপাড়ে কিছু মাটি ফেললেও পরে বর্ষার পানিতে তা ধসে গেছে। এতে গ্রামের প্রায় ১৫০ পরিবার চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনো বরাদ্দ পেলে আমি ব্রিজের উভয় পাশে এবং সড়কে মাটি ভরাটের চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. মারিয়াম খাতুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।