বিএনপির সমমনা দল ও জোটের সমাবেশ

বিএনপি।
বিএনপি। ছবি : সংগৃহীত

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবি আদায় এবং সরকারের ‘সর্বগ্রাসী’ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির পাশাপাশি সমমনা বিভিন্ন দল এবং জোটও গতকাল শনিবার রাজধানীতে পৃথক সমাবেশ করেছে।

পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে যে সিন্ডিকেট, সেই সিন্ডিকেটেই ভূত আছে। সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট; ভোট ডাকাতির সিন্ডিকেট, লুটপাটের সিন্ডিকেট, জনগণের ওপর নির্যাতন করার সিন্ডিকেট। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।

বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ করে ১২ দলীয় জোট। জোটের শীর্ষনেতা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, এনডিপির কারি আবু তাহের, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটু, বিএমএলের মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জাগপার আসাদুর রহমান খান প্রমুখ।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যা দরকার, তা মেনে নিতে হবে। সরকারকে বলব, দেশ ও জনগণের স্বার্থে অতিদ্রুত পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, আর নিরপেক্ষ সরকার বলেন; যে নামেই হোক তা গঠন করুন।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে। সভাপতির বক্তব্যে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের আন্দোলন চলবে জানান জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

তিনি বলেন, সময় থাকতে জনদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মণ্ডল, সাম্যবাদী দলের ডা. নুরুল ইসলাম, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।

পূর্বপান্থ পথে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে এলডিপি। সরকারের উদ্দেশে দলটির সভাপতি ড. অলি আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে জনগণকে রেহাই দিন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। সুশাসন ও ন্যায়বিচার কায়েম করুন। অন্যথায় সামনে বিপদ অপেক্ষা করছে। মহাসচিব রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির নেতা ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, এসএম মোরশেদ, মাহে আলম চৌধুরী প্রমুখ।

আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে যৌথভাবে সমাবেশ করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসন থেকে মানুষ মুক্তি চায় বলে দাবি করেন গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারীর সভাপতিত্বে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, বিপিপির মহাসচিব আবদুল কাদের, কো-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রণো, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা কামাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট। জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জোটের সহকারী সমন্বয়কারী মাইনুদ্দিন মজুমদার, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com