গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) চিঠি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনের বিরুদ্ধে। উপজেলার রাধাগঞ্জ থেকে ফুলগাছা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের গাছ অপসারণে মতামত চেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদের পাঠানো চিঠি ঠিকানা বদলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেতা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার অংশে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অধীনে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ১ হাজার ৩৪৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। এর মধ্যে জীবিত ১ হাজার ২৪৫টি গাছের মূল্য ২০১৭ সালে ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করে বন বিভাগ; কিন্তু তখন গাছগুলো অপসারণ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় আসনভুক্ত এ সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য সম্প্রতি মৌখিকভাবে কয়েক দফা তাগিদ দেন তার মনোনীত প্রতিনিধি শহীদ উল্লাহ খন্দকার। তাই সড়কের উন্নয়ন/সংস্কার কাজের জন্য এর দুই পাশের গাছ কাটা জরুরি উল্লেখ করে ২০১৭ সালের প্রাক্কলিত মূল্যে ওই ১ হাজার ২৪৫টি গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রীত বিষয়ে মতামতের জন্য ফরিদপুরের বন কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠান ইউএনও। সেই চিঠির ঠিকানা জালিয়াতি করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান ছোটন।