মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ডের জন্য আসা মা-মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের এক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন মাতব্বরের বিরুদ্ধে। তিনি ভেদরগঞ্জের নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ১৪ জানুয়ারি বিকেলে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ওই নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ভেদরগঞ্জ থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী মায়া বেগম। জিডি সূত্রে জানা গেছে, মেয়ে হুমায়রাকে একই ইউনিয়নের রবিন খানের সঙ্গে বিয়ে দেন মায়া। সেই ঘরে তাদের একটি সন্তান হয়। তিন মাস আগে হুমায়রার জন্য মাতৃত্বকালীন কার্ড পেতে ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে আবেন করেন। এর পরও কার্ড করে দেননি চেয়ারম্যান। পরে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যান মায়া। এতেই ক্ষিপ্ত হন সালাউদ্দিন। এ সময় হুমায়রার হাত থেকে আইডি কার্ড নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে মায়া ও তার মেয়েকে মারধর করেন চেয়ারম্যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন মায়া।
নির্যাতনের শিকার মায়া বেগম কালবেলাকে জানান, মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কার্ডের জন্য ৩ হাজার টাকা চান। সুদে টাকা নিয়ে মেয়েকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ভাতার কার্ডের জন্য গেলে চেয়ারম্যান আমাদের মারধর করেন। আমি গরিব বলে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করতে পারেন না। আমি এর বিচার চাই।
নারায়ণপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তরুণ মোড়ল কাকবেলাকে জানান, মায়া বেগম ও তার মেয়ে হুমায়রাকে সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান তার পরিষদে মারধর করেছে। এটা খুব ন্যক্কারজনক।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় পরিষদে যেতে পারিনি। তবে শুনেছি মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে মায়া নামে এক নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ঝগড়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজি মো. সালাউদ্দিন মাতব্বর মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন ও মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার বলেন, নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মায়া বেগম নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ ও জিডি করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।