আরবিট্রেটর নিয়োগে সিন্ডিকেশনের অভিযোগ

আরবিট্রেটর নিয়োগে সিন্ডিকেশনের অভিযোগ

রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে আরবিট্রেটর (সালিশকারক) নিয়োগে সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার জেলা জাজের বিরুদ্ধে। গত ৫ মার্চ আইনমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে এ অভিযোগ করেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও রিটায়ার্ড জাজেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মাহমুদুল কবির ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমান ঢাকা জেলা জজ আদালতে যোগদানের পর অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদকে প্রায় ১০০টি মোকদ্দমায় আরবিট্রেটর নিয়োগ করেছেন। এসব মামলায় জেলা জজের সঙ্গে যোগসাজশে তার বিশ্বস্ত ২ থেকে ৪ জন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজকেই আরবিট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করান মঞ্জুরুল বাছিদ। তারা আবার পরে বাছিদকেই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করেন। এভাবে তিনি কখনো আরবিট্রেটর বা চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা জজ আদালতের নিয়োগ করা ১৫ শতাংশ আরবিট্রেশন মোকদ্দমায় যুক্ত থাকেন।

আর কোনো আরবিট্রেটর মঞ্জুরুল বাছিদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করতে অসম্মতি জানালে তাদের পরে আর আরবিট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করা হয় না। জেলা জজের এমন আচরণে অনেকে তাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে বাধ্য হন। ফলে জেলা জজ ও মঞ্জুরুল বাছিদ ‘আরবিট্রেশন সিন্ডিকেট’ হিসেবে পরিচিত।

গত মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০০ অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ আছেন। তাদের অনেকেই বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং কেউ কেউ বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত। তা ছাড়া অনেকের ছেলেমেয়ে কর্মজীবনে আশানুরূপ সফলতা লাভ করতে পারেনি। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে তাদের চিকিৎসা ও সংসারের খরচ জোগাতে ওকালতি ও অনেকে আরবিট্রেটর হিসেবে কাজ করে আসছেন।

তবে এ বিষয়ে টেলিফোনে চেষ্টা করেও ঢাকা জেলা জজের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মো. শাহজাহান বলেন, আরবিট্রেশন সিন্ডিকেট বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এর দ্বারা বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com