
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
নেতারা মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য অবমাননাকর। উদ্ভূত এ পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব বর্তমান সরকারের।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের-জেএসডির সহসভাপতি সিরাজ মিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক পরিষদের বাচ্চু ভূঁইয়া, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক।
গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাবে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস, বিরোধীদের দমন-নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ-মিছিলে হামলা-আক্রমণ, হয়রানিমূলক মামলা, গ্রেপ্তার, গণমাধ্যমসহ নাগরিকদের কণ্ঠরোধ এবং সর্বোপরি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে রাখায় এরকম অপমানজনক নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ও বিরোধী দল গত প্রায় দেড় দশক, বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, এখন সেসব নিয়ে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।