আত্তীকৃত শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ হচ্ছে না ১০ বছরেও

আত্তীকৃত শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ হচ্ছে না ১০ বছরেও
ছবি : সংগৃহীত

আত্তীকৃত শিক্ষকরা পদে পদে নানা বৈষম্যের শিকার। আত্তীকরণের ১০ বছর পার হলেও অধিকাংশ শিক্ষকের চাকরি নিয়মিতকরণ করা হচ্ছে না। আবার প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা অর্জন এবং বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব হলেও বছরের পর বছর ধরে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। জুনিয়ররা পদোন্নতি পেলেও আত্তীকৃত যোগ্য সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক ফোরামের (বাসকশিফো) নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও সাড়া মিলছে না। সময়ক্ষেপণ করায় অসংখ্য শিক্ষক নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি ছাড়াই চাকরিজীবন শেষ করে খালি হাতেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাসকশিফো সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের সব অর্জন ও সফলতাকে পেছনে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে নিয়মিতকরণ বঞ্চিত কর্মকর্তাদের (প্রভাষকদের) আগামী এক মাসের মধ্যে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া কোনো কলেজের শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত সংযুক্তিতে বা অন্য কোনো উপায়ে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগকৃত কোনো কর্মকর্তাকে জাতীয়করণকৃত কোনো কলেজে পদায়ন না করা, ইতোমধ্যে যাদের পদায়ন করা হয়েছে, তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী ভূতাপেক্ষভাবে কলেজ জাতীয়করণের তারিখ থেকে সব কর্মকর্তাকে নিয়মিতকরণের ব্যবস্থা করা, নিয়মিতকরণ ছাড়া সব আত্তীকরণকৃত কর্মকর্তার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুয়োগ দেওয়া এবং বেতন নির্ধারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন ১৯৯৪ অনুযায়ী কলেজ কর্তৃক দেয় বার্ষিক বর্ধিত বেতন যোগ করে নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com