সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ১০:৪৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পুত্রজায়ার আদলে হচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট’

পুত্রজায়ার আদলে হচ্ছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট’

চট্টগ্রামে অবস্থিত সরকারি ৪৪টি দপ্তরকে এক ছাদের নিচে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার আদলে তৈরি করা হবে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে ভূমি, তৈরি হয়েছে নকশা। শিগগির উপস্থাপন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরপর একনেক সভায় প্রকল্পটি ওঠার কথা। একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে দেশের প্রথম মিনি সেক্রেটারিয়েটের নির্মাণকাজ শুরু হবে। নগরের ওপর চাপ কমাতে ও সাধারণ মানুষকে এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়।

মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রামের জন্য ১১০ একর জমি নির্ধারণ করা হয় কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট সেতুর এক কিলোমিটার পশ্চিমে। এর মধ্যে ৭৩ একর জায়গা ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় অধিগ্রহণ করতে অর্থ ব্যয় হবে না। বাকিগুলো অধিগ্রহণ করা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে সরকারি অন্তত ৪৪টি দপ্তর নগরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। এসব দপ্তরকে এক ছাতার নিচে আনতে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে নকশা ও মডেল তৈরি করা হয়। চূড়ান্ত নকশায় থাকছে জুডিশিয়ারি বা আদালতের জন্য নির্ধারিত স্পেস, প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি স্যাটেলাইট অফিস, মেলার জন্য স্পেস, সার্কিট হাউস ও রিসোর্ট, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, ক্লাব হাউস, শপিং মল, মাল্টি স্টোরেড কার পার্কিং, স্কুল-কলেজ, পরিবহন পুল, পেট্রোল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার, মসজিদ, মুক্ত মঞ্চ ও কালচারাল কমপ্লেক্স, কনডোমিনিয়াম, সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা, ওয়াচ টাওয়ার, সরকারি ট্রেনিং সেন্টার, হাইটেক পার্ক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতাল, শপিংমল, ইউটিলিটি ভবন ও নার্সিং ইনস্টিটিউট।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, চট্টগ্রামের সরকারি ৪৪টি দপ্তর এক ছাদের নিচে আনতে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি হবে দেশের প্রথম সমন্বিত সরকারি গুচ্ছ অফিস। চট্টগ্রামের জন্য এটি একটি মাইলফলক প্রকল্প। এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে এর নকশা। নকশা এবং একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের সরকারি ৩৩টি অফিস জরাজীর্ণ। তা ছাড়া সরকারি অফিসগুলোও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। ফলে সাধারণ মানুষকে সেবা নিতে কষ্ট সহ্য করতে হয়। মানুষের ভোগান্তি হ্রাসে সরকারি অফিসগুলো এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার সমন্বিত উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

ডেমরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ফের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী, নীরব প্রশাসন

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

পাবনায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইউপি সদস্যের মৃত্যু

শুধু আ.লীগের লোকজন ভিজিএফ ও টিসিবি কার্ড পাবে

ছেড়ে গেছেন সন্তানরা, সংসার টানছেন ১০৭ বছরের বৃদ্ধা

৫ হাজার টাকায় স্ত্রীকে ‘মাদক কারবারির’ হাতে তুলে ‍দিলেন স্বামী

ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

১০

সাতক্ষীরায় এমপির গাড়িতে হামলা

১১

জব্বারের বলী খেলা ২৫ এপ্রিল

১২

মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

১৩

খরুচে বোলিং মোস্তাফিজের, চেন্নাইয়ের হার

১৪

এফডিসিতে ৫৭০ ভোটারের সংবাদ সংগ্রহে ৩০০ সাংবাদিক

১৫

যশোরে অধিকাংশ টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

১৬

বিদেশি শ্রমিকদের সুখবর দিল কুয়েত

১৭

এফডিসিতে ফিরেছেন নির্বাচন কমিশনার, খোঁজ নেই নিপুনের

১৮

চাঁদপুরে পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা নিখোঁজের ঘটনায় ৮ কর্মকর্তা বদলি

১৯

বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা 

২০
*/ ?>
X