
আজকের তরুণ আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করবে। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিকশিত করে মানবিক সমাজ গঠন করবে। গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব কথা বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
এ উপলক্ষে তারুণ্য উৎসব হয় শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। সেখানে লীলা রায়ের জীবনকর্ম তুলে ধরেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। ‘তারুণ্যের উৎসব’ নারীর অধিকার আদায়ের পথিকৃৎ দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা রায়কে উৎসর্গ করা হয়েছে।
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী আন্দোলন তরুণ প্রজন্মের সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মালেকা বানু বলেন, যে কুসংস্কার বৈষম্যকে বাড়িয়ে দেয়, মানবতাকে পদদলিত করে, তা থেকে মুক্ত হতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের গবেষণা কর্মকর্তা আফরুজা আরমান। অংশগ্রহণকারী সংগঠনের মধ্যে ছিল বহ্নিশিখা, স্পর্শ, নৃত্যনন্দন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, বহ্নিশিখা গ্রিন ভয়েস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যসংসদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নবনীতা চৌধুরী। উৎসবে সংগঠনগুলো নাটিকা, কবিতা আবৃত্তি, মাইম শো ও সংগীত পরিবেশন করে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়।