ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নে সরকার ব্যাংক থেকে টাকা নিলে কিংবা সেই টাকার জোগান দিতে নতুন টাকা ছাপালে তা বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটাবে না, ফলে এটি মূল্যস্ফীতিও বাড়াবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা-পরবর্তী অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে কালবেলার এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে গভর্নর ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাজিণ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান ছিলেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, অন্যদিকে বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংকনির্ভরতা বাড়াতে চায়। কিন্তু ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট আছে। এখন ঋণের টাকার জোগান পেতে সরকার যদি টাকা ছাপায়, তা মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে কি-না?
গভর্নর এর উত্তরে বলেন, বর্তমানে দেশে যে ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি দেখা যাচ্ছে, তা সরকার ঋণ নেওয়ার কারণে হয়নি। সেটি হয়েছে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমদানি পণ্যের বাড়তি দামের কারণে, ডলার সংকটের কারণে। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টাকার সরবরাহ কম। আমাদের মানি সাপ্লাই যদি দেখেন, ওয়ান অব দ্য লোয়েস্ট এই রিজিয়নের মধ্যে। জিডিপির মাত্র ৪০ শতাংশ মানি সাপ্লাই। যেটা ইন্ডিয়াতে ডাবল, ৭৬-৭৭ শতাংশ। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াতে প্রায় ১০০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে।