
নানা ত্রুটি সংশোধনের পর তৃতীয়বারের মতো ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সম্মিলিত সিদ্ধান্তক্রমে চলতি মাসেই শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত কার্যক্রম। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিমত পোষণ করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তারা বিষয়টি জোরালোভাবে তোলেনি।
ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই গুচ্ছভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। জুলাইয়ে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস। সব ত্রুটি চিহ্নিত করে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আরও উন্নয়ন করা হবে।
এদিকে নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রাখতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার দাবি জানিয়েছে। জবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র কয়েকটা আসন পূরণের জন্য দশের বেশি মেধা তালিকা দেওয়া লাগে। এতে মেধাবী শিক্ষার্থী হারাচ্ছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়টি গুচ্ছতে থাকবে কি না, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হবে। অন্যদিকে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রীকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ফিরতে উপাচার্যের কাছেও চিঠি দিয়েছি।’
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়ে চিন্তা করে এ কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে নানাবিধ ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।