
পুলিশি হেফাজতে এক যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে নির্যাতনের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে জামিনের মেয়াদ শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবারও জামিন চাইলে বিচারক মো. আস-সামস জগলুল হোসেন তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের মামলায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তারা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তারা আজ (রোববার) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।’
মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হয়ে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন, বাবুল ও আমাকে সোনারগাঁ থানার তৎকালীন ওসি মোর্শেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা স্বপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। নয়তো ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে কোর্টে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বপন। এই মামলার সাক্ষী ছিলাম আমি। আসামিরা আমাকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্যও হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি নিজেও আদালতে আরেকটি মামলা করি। তখন আদালত মামলাটি তদন্তর নির্দেশ দেন।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুল আহসান বলেন, আমরা ২০২০ সালে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে একটি মামলা করি। আদালত তা জুডিসিয়াল তদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্ত রিপোর্ট এলে আদালত মামলাটি আমলে নেন। সেইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে নই- এ বার্তা দিতেই মামলাটি করেছিলাম।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত দুজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তারা হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করে আবারও জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।