বন্যপ্রাণীর টর্চার সেলখ্যাত চিড়িয়াখানা বন্ধ এবং বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’ শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। তাদের দাবি শেরপুরে পরিকল্পিত হাতি হত্যা হচ্ছে এবং হাতি-মানুষের সংঘাত বাড়ছে। সংগঠনের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেদুয়ানুল ইসলাম রাশেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন।
ছয় দফা দাবিগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বর্ডার হাট স্থাপনে, বাংলাদেশ ভারত আন্তঃসীমান্ত হাতি সংরক্ষণ প্রটোকল ২০২০ অনুসরণ ও পরিবেশগত সমীক্ষার মাধ্যমে হাতির বিচরণ ক্ষেত্রের নিরাপদ দূরত্বে বর্ডার হাট স্থাপন। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসনে শেরপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা এবং এনজিওর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। হাতির আক্রমণে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং শক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হাতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হাতির বিচরণ ক্ষেত্র সংলগ্ন বনের জমিতে রবিশস্য ও ধান চাষের পরিবর্তে মরিচ, লেবু, আনারস, বেত, মৌমাছি চাষের মতো হাতির অপছন্দের ফল ও বৃক্ষরোপণ। মধুটিলা মিনি চিড়িয়াখানা ও গজনী অবকাশ কেন্দ্রের স্বপ্নলোক চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল তথা বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ এবং প্রাণী কল্যাণ আইন লঙ্ঘন করে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বছরের পর বছর খাঁচায় কুকুর আটকে রাখার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।