
স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর বিনোদপুর বাজারের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে বাজারে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা একেবারে নেই বললেই চলে। দোকানিরা জানান, স্থানীয় অল্পসংখ্যক লোকজন ছাড়া শিক্ষার্থীদের দেখা নেই বাজারে। এই শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করেই জমজমাট থাকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এই বাজার।
জানা গেছে, সংঘর্ষের পর বিনোদপুর বাজার বয়কটের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। আগে এই বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অংশ নিত্যদিনের বাজার করে থাকলেও এখন তারা সেখানে যাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ স্টেশন বাজার ও কাজলা বাজার থেকে সবকিছু করছেন বলে জানা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, বিনোদপুর বাজারে দুই শতাধিক দোকানের মধ্যে শতাধিক দোকান খুলেছে। এর মধ্যে সবজি, মাছ ও মুরগির বাজার রয়েছে। বাজারের ভেতরের দোকানগুলোও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আজম আলী প্রথম দোকান খুলেছেন। তিনি বলেন, সংঘর্ষের পর আজ দোকান খুলেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। এখানের বেশিরভাগ ক্রেতা শিক্ষার্থীরা, তারা বাজারে আসছেন না। শিক্ষার্থীরা না এলে আগামী দিনে বড় লোকসান হবে বলে জানান তিনি।
মুদি দোকানি আসলাম আলী বলেন, গতদিনও দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু ক্রেতা নেই। আমাদের মূল ক্রেতা শিক্ষার্থী, তারাই আসছেন না, ফলে বেচাকেনা নেই।
বিনোদপুর বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগে যে রকম সম্পর্ক ছিল; সেটি ফিরে আসুক। আমরা মেয়রের সঙ্গে মিটিং করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সবকিছু স্বাভাবিক। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারে মেস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিশ্চয়তা দিয়েছি।