
কর্মসূচিতে না যাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিশ্বিবদ্যালয়ের শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হলে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী আল আমিন। তিনি সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। এ ঘটনায় আল আমিনের সহযোগী হিসেবে রিয়ানসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, সকালে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়। তখন আমি মাছ রান্না করছিলাম। রান্না প্রায় শেষের দিকে। আমি কাজ শেষ করে যাওয়ার কথা বলি। তখন আল আমিন বলে, তোর জন্য কি সবাই বসে থাকবে? এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পরে তারা চলে যায়। অন্যরা নিষেধ করায় আমি আর তখন কর্মসূচিতে যাইনি। কর্মসূচি শেষ করে আল আমিন, রিয়ানসহ কয়েকজন এসে আবার আমাকে মারধর করে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আল আমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আরেক অভিযুক্ত রিয়ান বলেন, তাকে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি যাবেন না বলে জানান। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাফায়াত বঁটি নিয়ে আমাদের কোপ দেন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেটা লাগেনি।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কর্মসূচিতে আসা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে জেনেছি। মারধরের বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওটা নাকি তাদের (ছাত্রলীগের) অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।