
বাংলাদেশে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে এগিয়ে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে রেগুলেটরি বডি শক্তিশালী হতে হবে। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য জিইকে ঠিকাদার বা ইপিসি নিযুক্ত করে স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং জিইয়ের কনসোর্টিয়াম। পরে নেব্রাস পাওয়ার কিউ পি এস সির প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে যুক্ত হয়। প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে সরকার, পিজিসিবি, বিপিডি ও তিতাসের চুক্তি হয়েছে।
আগামী অক্টোবরে প্রকল্পটি বাণিজ্যিক অপারেশনে যাওয়ার কথা। চুক্তি অনুযায়ী, এ কেন্দ্রে গ্যাস থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ দশমিক ১৬ টাকা এবং এলএনজি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৫ দশমিক ৪৪ টাকা পড়বে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা ও বাকি ৭৫ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট দিচ্ছে।
এ সময় মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, চেয়ারম্যান মো. নূর আলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির উদ্দিন মোল্লা এবং জিইর গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা ও সাইট ম্যানেজার কালুম ডেভিড কর্নফোর্থ ছিলেন।