
বান্দরবানে সেনাসদস্যদের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে নিহত সেনাসদস্য মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে চলছে মাতম। স্বপ্ন ভেঙে তছনছ তার পরিবারের।
গত সোমবার সেনাবাহিনীর গাড়িতে নাজিম উদ্দিনের কফিনবন্দি দেহ হেলিকপ্টারে রংপুর সেনানিবাসে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ তার বাড়ি ঘাঘটপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্বজনদের আহাজারি, শোকে বিহ্বল স্ত্রী ও দুই সন্তান। তার স্ত্রী চামেলি বেগম জানান, সবশেষ শনিবার দুপুরে কথা হয়, আর রোববার বিকেলে ফোন করে জানানো হয় তার স্বামী মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘এমন খবরে আমাদের সব শেষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বড় ছেলে নায়েমুজ্জামান চঞ্চল এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান নীরবের ভবিষ্যৎ কে দেখবে, কী হবে তাদের। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নাজিম উদ্দিন দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ, যেন নিহত নাজিম উদ্দিনের সন্তানদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। নাজিম উদ্দিন ৩০ বছর ধরে অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন।
গত রোববার দুপুরে বান্দরবানের রুয়াংছড়ির পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসী দল কেএনএ সেনাসদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাজিম উদ্দিন।