ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে গত বছর ২৭ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২২ সালের ২০টি ঘটনায় তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ পরিচালিত ‘স্টুডেন্টস এগেইনস্ট টর্চার-স্যাট’-এর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ঢাবি ক্যাম্পাসভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনের সমীক্ষা বলছে, ২০টি ঘটনার কেবল চারটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতে না যাওয়া, বড় ভাইয়ের আদেশ না মানায় ২৬ শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করা হয়েছে। পৃথক ঘটনায় তিনজন সাংবাদিকেও হেনস্তা করা হয়েছে।
সংগঠনের হেড অব ডকুমেন্টেশন আহনাফ সাঈদ খান বলেন, আমরা পত্রপত্রিকার তথ্য ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করেছি। প্রকৃত সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, গেস্টরুম নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের পক্ষে অ্যাডভোকেসি ও প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্যাট সদস্যরা অনলাইনে বুলিং ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত বছর ১৯ আগস্ট নির্যাতিত এক শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার সময় তিনি ও আহনাফ সাঈদ খান ছাত্রলীগ সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হন। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন স্যাটের মিডিয়া ডিরেক্টর আনাস ইবনে মুনীর, উইমেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড জেন্ডার এথিক্স ডিরেক্টর স্মৃতি আফরোজ সুমি ও সদস্য সাদিয়া ইয়াসমিন ঐতিহ্য।