রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের কার্যক্রম ৯ বছর আগে শুরু হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা ঝুলে আছে। কবে সচল হবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর। রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের কার্যক্রম ৯ বছর আগে শুরু হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা ঝুলে আছে। কবে সচল হবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে নগরবাসীর। রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
আরও বলা হয়েছিল, রংপুর জেলা শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক অপরিকল্পিত উন্নয়ন নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে। পরিবেশ-সংকটপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন, অপরিকল্পিতভাবে হোটেল নির্মাণ ইত্যাদি সমস্যার মূল কারণ। অথচ রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন হলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের পথ সহজেই প্রসারিত করা সম্ভব। সেইসঙ্গে আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটত।
মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এখন কৃষিজমিতে বহুতল ভবন হচ্ছে। যেখানে সেখানে বাসাবাড়ি হচ্ছে। এগুলোর প্রায় সবই অপরিকল্পিত। কিন্তু রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থাকলে এমনটি হতো না। এ অবস্থায় পরিকল্পিত নগরীকে নতুন করে সাজাতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দ্রুত নিরসন হওয়া প্রয়োজন। রংপুর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, বছরের পর বছর ফাইল আটকা পড়ে আছে; কিন্তু কেউ কোনো কথা বলছে না।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, নগরীকে ঘিরে মাস্টার প্ল্যান না থাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ফাইল নড়াচড়া না করা দুঃখজনক।
রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্র লেখা নাজনীন বলেন, এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে আপডেট নেওয়া হবে।