বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সংখ্যালঘুর বাড়িতে পুলিশি তাণ্ডবের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উপজেলার ১২ নম্বর জিউধরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে জ্যোতিন অধিকারীর বাড়িতে তালা ভেঙে পুলিশি তাণ্ডব চালানো হয়েছে। গত শনিবার রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দেবতার বিগ্রহ এলোমেলো করা হয় এবং পূজা ও কীর্তনসামগ্রী ভাঙা হয়।
২০১৮ সালে জমি কিনে বাড়িটি করেন সনজিত অধিকারী। ভাই প্রসেনজিৎ অধিকারী ও বাবা জ্যোতিন অধিকারীকে নিয়ে এখানেই থাকেন তিনি। এদিকে একই খতিয়ানভুক্ত জমি কেনেন একই এলাকার ছত্তার খলিফা। সনজিতের কেনা এই জমিতে বাড়ি নির্মাণকাজ শেষের দিকে চলে এলে ছত্তার দাবি করে এই জমি তার। কিন্তু সনজিত অধিকারীর দলিল, দলিলের চৌহদ্দি, নামজারি সবকিছু সঠিক থাকায় স্থানীয় সালিশ ও আদালতের রায় তার পক্ষে আসে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার রাতে গ্রাম পুলিশ রনজিত মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িটির সামনে গিয়ে চিৎকার করে মালিকদের ডাকেন লক্ষ্মীখালী পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সুফল সরকার। এ সময় সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তারা। সেখানে কাউকে না পেয়ে সনজিতের ভাই প্রসেনজিৎ অধিকারীকে মোবাইল ফোনে কিছু আলামত ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয় এবং পরদিন সকালে লক্ষ্মীখালী পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগের কথা বলা হয়।
প্রসেনজিৎ দ্রুত সেখানে পৌঁছানোর কথা বললেও পুলিশ কর্মকর্তা সুফল কিছু না শুনে বাড়ি থেকে কাঠ, বাঁশসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। বাড়ি পৌঁছে ছত্তার খলিফা ও মজিবরসহ কয়েকজন অপরিচিত লোককে দেখতে পান তারা। পরিবারের সদস্যদের দেখেই তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।