
ঢাকার আশকোনায় হজ ক্যাম্পে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে শুরু হলো চলতি বছরের হজযাত্রা। গতকাল শনিবার গভীর রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে প্রথম হজ ফ্লাইট। এ বছর রাষ্ট্রীয় খরচে ২৩ জনকে হজে পাঠাচ্ছে সরকার। আর হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দিতে ২০০ জনের মেডিকেল টিমও সৌদি যাচ্ছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবার হজযাত্রীদের জেদ্দা ও মদিনাগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস, সিকিউরিটি চেক-ইন এবং বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে সম্পন্ন হয়।
হজযাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ নানা নির্দেশনা দিয়ে বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিরতি হজ ফ্লাইটের হজযাত্রীদের নির্ধারিত হজ ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে জেদ্দা হজ টার্মিনাল ও মদিনা এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিমান জানায়, প্রত্যেক হজযাত্রী ইকোনমি ক্লাসের জন্য সর্বাধিক দুটি ৪৬ কেজি (প্রতি ব্যাগেজের সর্বোচ্চ ওজন ২৫ কেজি) এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মাল বহন করতে পারবেন। দুই বছরের নিচের যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ কেজি মালপত্র পরিবহনের সুবিধা পাবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানায়, গোলাকৃতি বা গাঁইট জাতীয় ব্যাগেজ বিমানে পরিবহন করা যাবে না। তা ছাড়া পাটের দড়ি দিয়ে বাঁধা ব্যাগ, কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ বহনে সৌদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এজন্য এ ধরনের ব্যাগও ব্যবহার করা যাবে না।
এ বছর রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন ২৩ জন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিমান ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে অসচ্ছল ২৩ জন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে হজে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাসহ প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকায় ২৩ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকার ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের মধ্যে বিমান ভাড়া ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর সম্মতি দেওয়া হলো। সরকারি খরচে হজ পালনের জন্য মনোনীতদের বিমান টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তারা বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে সম্ভাব্য আগামী ১০ জুন (আগে বা পরে) সৌদি আরব যাবেন। একইভাবে বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ১৫ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবেন।
২০০ জনের মেডিকেল টিম : এ বছরে বাংলাদেশি হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০০ জনের একটি চিকিৎসক দল সৌদি আরবে যাচ্ছে। এ দলে রয়েছেন ১০২ জন চিকিৎসক, ৬৩ জন নার্স, ২১ জন ফার্মাসিস্ট ও ১৪ জন ওটি এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অসুস্থদের সেবা দিতেই তারা সৌদি আরব যাবেন। চিকিৎসক দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। উপ-দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন।