
সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। গতকাল শনিবার বগুড়া জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। শহরের নবাববাড়ি টিএমএসএস মহিলা মার্কেটে হয় এ অনুষ্ঠান।
ড. নিম চন্দ্র বলেন, সব জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে ওঠে আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। ফলে পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী এনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তিত করা হয়। সে দিনই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার প্রতিবাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমে আসে। আর সে দিনই এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও আমরা এমনটি আশা করতে পারি না। আমরা বারবার বলে এসেছি, ’৭২-এর সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালিত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে। যাতে এ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা স্বাধীনভাবে নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রফেসর ডা. এন সি বাড়ই। সাবেক বক্তা ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হরি চাঁদ মণ্ডল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হালদার ও টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি প্রবীর বড়ুয়া, রবার্ট রবীন মারান্ডী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিষ চৌধুরী, টিটিসির গৌর চন্দ্র সরকার, অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জ্জী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মল প্রমুখ। সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় ডা. এনসি বাড়ইকে সভাপতি ও রোটারিয়ান তপন কুমার চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।