
দেশের ১৭ ভাগ মানুষকে নিরাপদ পানি সংগ্রহের জন্য দৈনিক আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। আর ছয় ভাগ মানুষ ব্যয় করে তিন ঘণ্টা। এর মধ্যে ৯০ ভাগ পানি সংগ্রহকারী নারী ও শিশু। ইউনিসেফের গবেষণা তথ্যের বরাত দিয়ে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
নিরাপদ পানি পেতে জীবনযুদ্ধের এ চিত্র সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। প্রতিদিনের এ সংগ্রামকে ওই এলাকায় পানির জরুরি অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াস) খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ-সংক্রান্ত বাজেট-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, এফএসএন নেটওয়ার্ক, বাউইন, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম ও ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল।
ড. জিল্লুর বলেন, ওয়াশ খাতে বরাদ্দ কমাবার সুযোগ নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দের বিষয় যেমন আছে, ব্যবহার ও পরিবর্তন, রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ও আছে। নতুন বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ফানাসার ন্যাশনাল কনভেনর যোসেফ হালদার, এসডব্লিউএ বাংলাদেশের সিএসও সদস্য আমির খসরু, এফএস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেহরাবুল গণি ও ওয়াইয়ের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর আলোক মজুদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক পার্থ হেফাজ সেখ।