
ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার তার পক্ষে আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া সোনালী ব্যাংকের হাইকোর্ট শাখায় এ টাকা জমা দেন। এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ জমির উদ্দিন সরকারের দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় দেন। সেই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছায় গত ৬ মার্চ। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইর মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন ও নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীর উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো করেন। পরে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন।
পরে তৃতীয় বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে রায় দেন। এরপর জমির উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন। তবে রায়ে আপিল বিভাগ চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে জমির উদ্দিন সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন। পরে আপিল বিভাগের আদেশ বিচারিক আদালতে পৌঁছালে সে অনুযায়ী চিকিৎসা বাবদ নেওয়া অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।