
মেট্রোরেলে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না উল্লেখ করে ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড । এ অবস্থায় রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চেয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর জানায়, আইন অনুযায়ী তাপানুকুল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য আছে। গত বছর ২৯ ডিসেম্বর চালুর পর চলতি মার্চ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে পৌনে ৫ কোটি টাকা আয় করলেও যাত্রীদের শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় ওই মূসক দিতে চায় না ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ধারা ২৬ অনুযায়ী, যাত্রী পরিবহন সেবার ক্ষেত্রে তাপানুকূল ও প্রথম শ্রেণির নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের সেবার ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। সম্পূর্ণ তাপানুকূল হওয়ায় মেট্রোরেলের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট হারে মূসক প্রযোজ্য হবে।
যদিও ডিএমটিসিএল থেকে এনবিআরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ভাড়ার আয় থেকে লাভজনকভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে পরিচালন ব্যয় নির্বাহের। মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এরই মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে অর্থ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।