
এক সপ্তাহ পর খুলে দেওয়া হলো সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কুইন স্যানিটারি মার্কেটের সামনের সড়ক। তবে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের সামনের ১৮ ফুট জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের বাকি অংশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বংশাল থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, সকাল থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ক্রাইমসিন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ভবনের সামনের কিছু অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় ওই এলাকায় যানজটের পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগও কমেছে।
তিনি জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নয়টি পিলারে ১৮টি স্টিলের পাইপজুড়ে সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজউকসহ অন্য সংস্থাগুলো এখনো ভবনে কাজ করছে। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখনো অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত ৭ মার্চ বিকেলে বিস্ফোরণের পর থেকেই সিদ্দিকবাজারের সড়কটির একপাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে রাজধানীর ব্যস্ত এই সড়কটিতে এতদিন পর্যন্ত ছিল তীব্র যানজট। এই যানজটের কারণে মহাদুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। সেখানকার ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।
গত মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যাফে কুইন স্যানিটারি মার্কেট ভবন। ওই ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত ভেতরের অংশের ছাদ ধসে পড়ে, নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত দেয়ালও ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজউক সূত্র জানায়, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিকে এখনই পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে অন্তত ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন।
গ্রেপ্তার দেখানো হলো ভবন মালিকসহ তিনজনকে : রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর বংশাল থানার মামলায় দুই ভবন মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের বেজমেন্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু।
এর আগে গত ৯ মার্চ আসামিদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মাবুদ। শুনানি শেষে আদালত দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১২ মার্চ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।