
জীবনে যত বৈচিত্র্য, পরিচয়েও তত বিশেষণ নিয়ে বাংলা সাহিত্য জগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম; ১২৪তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় এ বিদ্রোহী কবিকে স্মরণ করেছে সর্বস্তরের মানুষ। আলোচনা হয়েছে কবির প্রেম-বিরহ, দ্রোহ-জাগরণ, দুঃখ-বেদনা, আরসব জীবন ঘনিষ্ঠ সৃষ্টিগুলো নিয়ে। বাংলা ভাষার কবিতাপ্রেমিদের কাছে তিনি প্রেমের কবি, চির যৌবনের দূত; সেইসঙ্গে তিনি বিদ্রোহী, গৃহত্যাগী বাউণ্ডুলে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯ সাল) জন্মগ্রহণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কবির সমাধিস্থলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। ঢাকায় কবির সমাধিতে ফুল দিতে এসে কবির নাতনি খিলখিল কাজী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়, আমরা অনেকদিন ধরে বলে আসছি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনও ছুটি ঘোষণা করা হোক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সকালে সহকর্মীদের নিয়ে জাতীয় কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে একে একে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বাংলা একাডেমির ডিজি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জাতীয় জাদুঘরের ডিজি কামরুজ্জামান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ডিজি চন্দন কুমার দে, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত নজরুল প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় নজরুল একাডেমী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নজরুল একাডেমী ভবনে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে (মগবাজার মোড় বেলালাবাদ কলোনি, ঢাকা) তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।