রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের ডাইনিং-ক্যান্টিনে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ’ খাবারের দাবিসহ ৯ দফা দাবি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো—রমজানে হলগুলোর ডাইনিং এবং ক্যান্টিনে তিন বেলা পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে, ডাইনিং এবং ক্যান্টিনে গরুর মাংস বন্ধ করতে হবে অথবা হিন্দুদের জন্য আলাদা ডাইনিং ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলোতে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করতে হবে, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসিক হল নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিদিন পূজা অর্চনার জন্য পুরোহিত, কেন্দ্রীয় মন্দিরে নিরাপত্তা বিধানে সিসি-টিভি স্থাপন করতে হবে, কেন্দ্রীয় মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে উপাসনার জন্য পূর্ণাঙ্গ নাটমন্দির স্থাপন করতে হবে, বিভিন্ন হলে সাধারণ ও সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কর্মসূচিতে ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রীমন ধর বলেন, ‘সম্প্রতি জিয়াউর রহমান হলে খাবারের তালিকায় গরুর মাংস যোগ করা হয়েছে। এটি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি অস্বাভাবিক বিষয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক চিন্তা লালন করি। আমরা চাই প্রতিটি হলের মধ্যে একটি করে প্রার্থনা কক্ষ থাকুক, যেখানে আমরা প্রার্থনা করতে পারি। সেটি যদি সম্ভব না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জন্য আলাদা একটি হল করে দিক, যেখানে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি।’
শিক্ষার্থী সোমা রায় বলেন, ‘আমাদের হলগুলোতে আলাদা কোনো প্রার্থনালয় নেই, এক রুমেই পাশাপাশি মুসলিম বান্ধবী বা বড় আপুদের সঙ্গে বেড শেয়ার করে থাকতে হয়। রুমে কোনো দেবদেবীর মূর্তি বা ছবি রাখতে পারি না।’
কর্মসূচিতে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনু মোহন বাপ্পা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে একই চামচ দিয়ে গরু ও মুরগির মাংস সরবরাহ করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।’