
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের সময় পুরান ঢাকার বংশাল মোড় থেকে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট চলছিল। মঙ্গলবার ওই এলাকার মার্কেট-দোকানপাটও ছিল খোলা। বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক ছড়ালেও মুহূর্তেই সেখানে মানুষের জটলা লেগে যায়। সময় গড়াতে সেখানে কৌতূহলী মানুষের ভিড় বাড়তেই থাকে। গতকাল বুধবারও সেখানে ছিল কৌতূহলী জনতার প্রচণ্ড ভিড়। এতে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সমস্যা হচ্ছিল উদ্ধারকর্মীদের।
শুধু ঘটনাস্থলই নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ভিড় করে কৌতূহলী মানুষ। ভিড়ের কারণে আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে জরুরি বিভাগের মূল গেটে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থল থেকে মানুষের ভিড় সরাতে গতকাল দিনভরই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ব্যারিকেড দেওয়া অংশেও ঢুকে পড়ছিলেন লোকজন।
ফায়ার কর্মীরা হ্যান্ড মাইক দিয়ে বারবার ঘোষণা দিচ্ছিলেন, ‘ধসে পড়া ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। এতে আপনারাও নিচে পড়তে পারেন। নিরাপদে চলে যান।’ মাইকে বলা হচ্ছিল, ‘উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সমস্যা হচ্ছে, আপনারা সরে যান।’
এদিকে উদ্ধার তৎপরতা এবং ঝুঁকি বিবেচনায় ভবনটির সামনের মূল সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সড়কের একদিকে দুই লেনে করে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। তবে তাও কৌতূহলী জনতা দখল করে নেয়। এতে ওই এলাকায় দিনভরই যানজট লেগে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার কালবেলাকে বলেন, সাধারণ মানুষের ভিড়ের কারণে আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। বারবার লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা সরতে চাচ্ছিলেন না।