কোনো বিচারক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচারক, আইনজীবীসহ সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্প্রধান বিচারপতি বলেন, বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক। বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ সঠিকভাবে চলবে না। দুপক্ষেরই উচিত পরস্পরকে সহযোগিতা করা।
আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, আপনারা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন। বিচারপ্রার্থীরা যেন আদালতের ওপর আস্থা না হারান। কেউ দীর্ঘদিন ঘুরে বিচার না পেলে আদালতের ওপর আস্থা হারাবেন।
এদিন চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ শেষে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য কে এম হাফিজুল আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার, চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান শিশির। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন খান। সভা সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী।মিত বিশ্রামাগার ও ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।