
করোনাভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুযাত্রার তিন বছর পূর্ণ হলো আজ শনিবার। ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর মাত্র ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশের মানুষ করোনায় প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী হয়। সেদিন একজন মারা যান। এর মধ্য দিয়ে সে সময় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনায় মৃত্যু আতঙ্ক। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ে শনাক্তের হারও। দেড় বছর পর করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু পৌঁছায় ২৬৪ জনে।
সম্প্রতি দেশে করোনার প্রকোপ বা মৃত্যু কোনোটাই নেই। কিন্তু গত তিন বছরে দেশের ২৯ হাজার ৪৪৫ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এ ভাইরাসে, যা মোট শনাক্তের প্রায় দেড় শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মধ্যে ১৮ হাজার ৭৮৯ পুরুষ আর ১০ হাজার ৬৫৬ নারী। শতাংশের হিসাবে ৬৩ দশমিক ৮১ শতাংশ পুরুষ। ৩৬ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী। বিভাগীয় হিসাবে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৪৪ জন, চট্টগ্রামে ৫ হাজার ৯০৬, খুলনায় ৩ হাজার ৭৩৫, রাজশাহীতে ২ হাজার ১৬৩, রংপুরে ১ হাজার ৪২৯, সিলেটে ১ হাজার ৩৬৪, বরিশালে ৯৯৩ এবং ময়মনসিংহে ৯১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট মৃত্যুর অধিকাংশই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দেশের সরকারি হাসপাতালে ২৪ হাজার ৯৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৬৫৩ জনের মৃত্যু হয়। বাসায় মারা গেছেন আরও ৭৮৩ জন এবং মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আরও ৩৫ জনকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু অনেক কম হয়েছে। রোগী শনাক্তকরণ, আইসোলেশন, শনাক্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান এবং সর্বসাধারণের জন্য প্রতিষোধক টিকা নিশ্চিতকরণের কারণে তা সম্ভব হয়েছে।