গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী নিজেদের অধীনস্ত করে রেখেছে। এর মধ্যে দিয়ে জুলুম, নির্যাতন, লুটপাট, অর্থপাচার সবকিছু অনায়াসে করে যাচ্ছে তারা। উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকেও বৈধতা দিচ্ছে এই সরকার। যারা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কিংবা বিভিন্ন সময় কথা বলেছে তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি, মামলা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নির্যাতন কতটা ভয়ংকর সেটা এই বাহিনীর আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেখে বোঝা যায়। দেশ হিসেবে আমাদের জন্য এটা খুবই লজ্জাজনক।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত সম্মেলন হাসান মারুফ রুমীকে সমন্বয়কারী ও ফরহাদ জামান জনিকে নির্বাহী সমন্বয়কারী করে চট্টগ্রাম জেলার ২৯ সদস্য কমিটি ঘোষণা করেন জোনায়েদ সাকি।
সম্মেলনে অধ্যাপক আমির উদ্দীন, গণসংহতি আন্দোলনর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. অপূর্ব নাথ, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ শিমুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্র চলছে। আর এই সমস্ত মাফিয়াতন্ত্র লুকিয়ে আছে আমাদের সংবিধানে। এই সংবিধানে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে যার ফলে ক্ষমতার কোনো ভারসাম্য নেই। ফলে সেই ব্যক্তি যেভাবে বলছে সেভাবেই এখন দেশ চলছে। আমাদের আজকে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে লড়াই সেই লড়াইয়ে জনগণকে সংগঠিত হতে হবে, গণসংহতি জনগণকে রাজপথে সংগঠিত করার জন্য সেই সংগ্রাম করে যাচ্ছে।