
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের সীমান্তবর্তী জগদল নাগর নদীর পতিত বালু চরে মিষ্টিআলু চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক হাসান আলী। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় দুই একর জমিতে মুড়াসাকি ও ওকিনামা জাতের মিষ্টিআলু চাষ করেন তিনি। এসব আলুর কোনো কোনোটির ওজন ৩ থেকে ৪ কেজি। হাসান আলীর উৎপাদিত এত বড় আকারের মিষ্টিআলু দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই ভিড় করছেন তার বাড়িতে, নিচ্ছেন পরামর্শ।
ধর্মগড়ের কৃষক জমির উদ্দীন বলেন, চরের বালুমাটিতে এত ভালো ফসল হবে ভাবতেও পারিনি। এত বড় মিষ্টিআলু জীবনেও দেখিনি। দেখে খুব ভালো লাগছে। যত্ন করলে যে রত্ন পাওয়া যায়— হাসান আলী সে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
এ বিষয়ে কৃষক হাসান আলী বলেন, প্রথমে যখন শুরু করি হতাশা কাজ করছিল। এখন এমন ফলনে আমি সত্যিই আনন্দিত। প্রথমবারই এত বড় সাফল্য পাব, ভাবতেও পারিনি। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মিষ্টিআলু বিক্রি করেছি জমি থেকে। আরও ৩০০ মণের ওপরে আলু রয়েছে, যার বাজারদর ৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হবে আশা করছি। পানির সেচ বেশি দিতে হয়েছে। কারণ, চরের জমি মানেই বালু। আগামীতে আরও বেশি জমিতে মিষ্টিআলু চাষের চিন্তা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা— কোনো পতিত জমি ফেলে রাখা যাবে না। এরই ধারাবাহিকতায় নদীর চরেও চাষ শুরু করা হয়েছে। কৃষক হাসান আলী ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের মিষ্টিআলু উৎপাদন করে উপজেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাজারে বিশেষ পুষ্টিগুণসম্পন্ন মিষ্টিআলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশা করছি, অন্য কৃষকরাও তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হবেন।