সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণ : দুদিন সময় নিল তদন্ত কমিটি

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণ : দুদিন সময় নিল তদন্ত কমিটি
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তকাজ প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে। তবে সঠিক ‘কারণ’ বের করতে ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আরও দুই কর্মদিবস সময় নিয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।

রাকিব হাসান কালবেলাকে বলেন, দেশে অক্সিজেন কারখানায় এমন বিস্ফোরণের ঘটনা এই প্রথম। তাই সঠিক কারণ বের করে আনাসহ ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালা তুলে ধরতে আমরা আরও দুই কর্মদিবস সময় চেয়ে নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করছি দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে আনতে। এরই মধ্যে একাধিকবার সরেজমিন তদন্ত করেছি। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। কারখানায় কিছুটা অনিয়ম পাওয়া গেছে।

গত শনিবার সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হন। বিস্ফোরণে প্লান্টের আশপাশের এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার দিনই আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানসহ কমিটির সদস্যরা।

এ সময় রাকিব হাসান কালবেলাকে বলেছিলেন, ‘কারখানায় অক্সিজেনের পাশাপাশি আমরা কার্বন ডাইঅক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার দেখেছি। অথচ এগুলো রাখার অনুমোদন তাদের ছিল না। এ ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। মালিকপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু প্রতিপালন করেছে ও কতটুকু গাফিলতি আছে তাও তদন্ত করা হচ্ছে।’ এদিকে সীমা অক্সিজেন কারখানা প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর ২০০৭ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স পায় প্রতিষ্ঠানটি; কিন্তু গত বছরের ২৮ আগস্ট সেই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। নতুন করে ছাড়পত্রের আবেদনও করেনি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরও নেয়নি কোনো ব্যবস্থা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com