
দাদা বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বউ এনেছিলেন পালকিতে। ছোটবেলা থেকে সেই গল্প শুনে বড় হওয়া মতিউর রহমান হালিমও বিয়ে করতে গেলেন ঘোড়ায় চড়ে। আর কনে আনলেন পালকিতে। এদিকে কনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে হেলিকপ্টারে চড়ে এলেন এমপি। এক বিয়ে বাড়িতে ঘোড়া, পালকি ও হেলিকপ্টার দেখে অবাক এলাকার লোকজন। গতকাল শনিবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এই বিয়ে হয়।
বর মতিউর রহমানের বাড়ি উপজেলার ভরট্ট গ্রামে। তার বাবা আবদুল মান্নান মাদ্রাসা শিক্ষক। মা হালিমা খাতুন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের একমাত্র সন্তান মতিউর। সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল হকের একমাত্র মেয়ে ফারহানা আঁখির সঙ্গে মতিউরের বিয়ে হয়েছে।
আঁখির বিয়েতে অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে উড়ে যান তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টারেই ফিরে আসেন। স্থানীয় ফুটবল মাঠে হেলিকপ্টার নামে। গ্রামে প্রথমবার হেলিকপ্টার দেখতে মাঠে ভিড় করে মানুষ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, চীন থেকে পড়াশোনা করে আসা মতিউরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আঁখির। মতিউরের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটা ঘোড়া ভাড়া করে আনা হয়। আর গ্রামের প্রবীণ একজন মিস্ত্রিকে দিয়ে তিন দিনে তৈরি করা হয় একটি পালকি। ঘোড়ায় চড়ে বেলা ১১টার দিকে মতিউর বিয়ে করতে যান। তার বাড়ি থেকে কনেবাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকিতে করে নববধূকে বাড়িতে নিয়ে যান মতিউর।
কনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল হক বলেন, তার মেয়ের বিয়েতে স্থানীয় এমপি এনামুল হকসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষকে দাওয়াত করেছিলেন।