এবার বল হাতে ভালো করতে চান শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এবার বল হাতে ভালো করতে চান শান্ত

আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে কেবল ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আয়ারল্যান্ড যখন ৩ উইকেটে ২২৫ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ঠিক তখনই আঘাত হানেন শান্ত। ৪৫ রান করা হ্যারি টেক্টরকে আউট করে জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে ধস নামে। ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে থামে তারা। বাংলাদেশ ৫ রানে রোমাঞ্চকর জয়ে ২-০-তে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয়।

সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৩২ বলে ৩৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন শান্ত। তার আগের ম্যাচে ১১৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ রান। ব্যাটে তিনি রান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে এখন বল হাতেও দলের জয়ে অবদান রাখতে চান। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে শুধু বোলিং করার আগের ওভারে বলেছিল (তামিম) বোলিং করা লাগবে। ওভাবেই কথা হয়েছে। বেশির ভাগ কথা হয়েছে মিরাজের সঙ্গে, ও কীভাবে ১০ ওভারের স্পেল শেষ করেছে সেসব নিয়ে। ওই পরিকল্পনায় বল করার চেষ্টা করেছি।’ নিজের বোলিং সম্পর্কে বলেন, ‘বোলিংটা খুব ভালো হয়েছে বলব না। তিন ওভার বল করেছি। অধিনায়ক বল দিলে চেষ্টা করব আবারও ভালো বল করার। এটা নিয়ে খুব মাতামাতি করার কিছু নেই যে, আমি একদিন তিন ওভার বল করে অনেক কিছু করে ফেলেছি।’ দলের ভালো করা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমরা দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমার মনে হয়। পুরো সময়টা সবাই দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল। এটা যদি কনটিনিউ করতে পারি তাহলে সামনের দিকে আরও ভালো কিছু করতে পারব।’ মাঠে নেতৃত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মনে হয় দলে যখনই ফিল্ডিং করি, আমরা সবাই চেষ্টা করি হেল্প করার। যদি কোনো আইডিয়া থাকে ওটা বোলার বা অধিনায়ককে দেওয়া। ওটা সবসময়ই চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তা করতে পেরেছি। এতে যদি দলের উপকার হয়ে থাকে তাহলে ভালো লেগেছে অবশ্যই। সবসময় চিন্তা থাকে ওটা কীভাবে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারি অথবা ভালো ফিডব্যাক দিতে পারি।’ অক্টোবরে ভারতের মাটিতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমরা যে ম্যাচে ৩২০ চেজ করলাম, আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ম্যাচটা আমরা ডিফেন্ড করলাম। দুটা ম্যাচই বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের পরিস্থিতি বিশ্বকাপে আসতেই পারে। বড় দলের বিপক্ষে। দুই ধরনের অনুভূতিই পেলাম কীভাবে চেজ করতে হয় বা ডিফেন্ড করতে হয়। এই জিনিস মনে রেখে সামনে ম্যাচ খেলতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com