
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় চুক্তি, রোটেশন পলিসি এবং খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে কথা বলেন।
বিপিএলে নাসির হোসেন ও সৌম্য সরকারের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, ‘নাসির অনেকদিন পর কামব্যাক করেছে। ওকে ধারাবাহিকভাবে এ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। সিলেকশন প্যানেলের বিবেচনায় আছে। সবাইকে নিয়েই চিন্তাভাবনা হচ্ছে। যখন যাকে দরকার হবে, তখন তাকে চিন্তা করা হবে। নাসির অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, অনেক দিন ধরে খেলছে। নিজের ছন্দে থাকলে ওর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।’ সৌম্যের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এটা এখন এভাবে বলা মুশকিল। এখন টুর্নামেন্টের অর্ধেক। ৯৫ শতাংশ ম্যাচ শেষ হলে মূল্যায়ন করা যাবে কার পারফরম্যান্স কোনদিকে যাচ্ছে। তারপরও বলব সব ক্রিকেটারকেই মনিটর করা হচ্ছে।’ ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি গ্রেডিং এবং স্যালারি নিয়েও কথা বলেছেন নান্নু, ‘এ, বি, সি, ডি এভাবে চুক্তিতে গ্রেডিং করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনুযায়ী গ্রেডিং দেওয়া হয়েছে। এটা শিগগির আপনারা জানতে পারবেন।
সবকিছু মিলে ওদের স্যালারিও একটু বেড়েছে। গ্রেডিং দেখলেই বুঝতে পারবেন কার কতটুকু স্যালারি হয়েছে। ক্রিকেট অপারেশন্সের একটা সিস্টেম আছে। যে যত বেশি ম্যাচ খেলে এর ওপর পয়েন্ট আছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবছরই পারফরম্যান্স অনুযায়ী মূল্যায়ন হয়। এবার আমরা ছয় মাসের মধ্যেই করব বলেছি। একটা সিস্টেম আমরা তৈরি করেছি।’ চুক্তি থেকে ইয়াসিরের বাদ পড়া নিয়েও কথা বলেন তিনি, ‘আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চুক্তিতে ৯৩ জন খেলোয়াড় আছে। ৯০ থেকে ৯৩ জনের নাম এবারও সাবমিট করেছি। যারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকে না, তারা ওই চুক্তিতে চলে যায়। জাকিরকে নিয়ে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী, এজন্য ওকে নিয়েছি। ইয়াসিরের ইন অ্যান্ড আউট পারফরম্যান্স। পুরোপুরি স্টেবল নয়। ক্ষুধাটা থাকুক, তাহলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। আশা করছি ও কামব্যাক করবে।’ সোহানের
টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন বিপিএলে ইনজুরিতে পড়েছে। ও ভালো ক্রিকেটার, আশা করছি ফিরে আসবে। সোহানসহ সবাইকেই মনিটর করা হচ্ছে। সবার ফিটনেস, ইনজুরি এসব মেডিকেল বিভাগ দেখছে। আশা করছি ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সবাই ফিট থাকবে।’