আহমেদাবাদ টেস্ট ড্র অজিদের সিরিজ হার

চার বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়ে সে ম্যাচের জার্সি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের উপহার দিচ্ছেন বিরাট কোহলি
চার বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়ে সে ম্যাচের জার্সি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের উপহার দিচ্ছেন বিরাট কোহলি ইন্টারনেট

অনুমিতভাবে ড্র হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার আহমেদাবাদ টেস্ট। চার টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিক ভারত। এর আগে প্রথম দুটি টেস্টও জিতেছিল ভারত। তৃতীয় টেস্ট জেতে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ও শেষ টেস্ট ড্র হয়।

প্রথম তিন টেস্টই শেষ হয়েছিল আড়াই থেকে তিন দিনে। পিচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে আহমেদাবাদে ম্যাচ অমীমাংসিত থেকেছে পঞ্চম দিনেও। প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ভারত শুভমান গিল ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে তোলে ৫৭১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ড্রর সময় তাদের লিড ছিল ২৬৬ রানের। তবে সোমবার পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা বাকি তখনো ১৫-১৬ ওভার। ভারত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর ব্যাটিংয়ে নামতে রাজি হয়নি।

রোহিত-স্মিথ ড্র মেনে নেন। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টানা চতুর্থবার বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতল ভারত। ১৮৬ রান করার সুবাদে শেষ টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ভারতের বিরাট কোহলি। চার টেস্টে ২৫ উইকেট ও ৮৬ রান করার সুবাদে সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। সোমবার ম্যাচের পর চার মিনিটের ভাষণে কোহলি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজের কাছে যে প্রত্যাশা থাকে, সেটা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারছিলাম না। গত ১০ বছর যেভাবে খেলেছি, তেমন খেলতে পারছিলাম না। তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম।

আগের মতো খেলার চেষ্টা করছিলাম। নাগপুরের প্রথম ইনিংসেই বুঝতে পেরেছিলাম, অনেকটা ভালো ব্যাট করছি। আমাদের লক্ষ্য থাকে দলের জন্য যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করা। সব সময় উইকেটে থাকার চেষ্টা করি। একটা পর্যায় পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারলেও আগের মতো পারছিলাম না কিছুদিন। এজন্য কিছুটা হতাশ লাগছিল। এই টেস্টটা আবার আগের মতো করে খেলতে পেরে ভালো লাগছে। যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবেই খেলতে পেরেছি। ভালো লেগেছে অনেক ভালো রক্ষণ করতে পারায়। বলতে পারেন নিজের খেলায় আমি খুশি। কাউকে ভুল প্রমাণ করার ছিল না। কেন মাঠে নামছি, সেটা নিজের কাছে আরও যুক্তিগ্রাহ্য করতে চেয়েছিলাম।’ কোহলি আরও বলেছেন, ‘৬০ রানে অপরাজিত থাকার সময় ইতিবাচক ব্যাট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, শ্রেয়াস আয়ার চোটের জন্য ব্যাট করতে পারল না। একজন ব্যাটার কমে যায় আমাদের। তখন ঠিক করি দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকতেই হবে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে কখনো সমস্যা ছিল না। ভালোই ব্যাট করছিলাম। মনে হচ্ছিল, ভালো উইকেটে খেলার সুযোগ পেলে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারব। এখানে সেটাই হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com