নির্বাহী কমিটিতে আসছেন নারী ক্রিকেটাররা

কোয়াব
নির্বাহী কমিটিতে আসছেন নারী ক্রিকেটাররা

অতিথি মঞ্চে অন্য সবার সঙ্গে নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সামনের দুটি টেবিলে দেখা মিলল ফারজানা হক পিংকি, রিতু মনিদেরও। প্রথমবার ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সদস্যপদ পেলেন তারা। ইলেকশন না হলেও সিলেকশনের মাধ্যমে বহাল থাকছে আগের কমিটি। তবে নতুন কমিটিতে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন নারীরাও।

২০১৪ সালের পর অবশেষে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেছে কোয়াব। কয়েক হাজার সদস্য থাকলেও সভায় উপস্থিত ছিলেন পাঁচশর মতো ক্রিকেটার। কোয়াবের কার্যক্রম নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল যাদের, তাদের বেশিরভাগই সভায় ছিলেন অনুপস্থিত। তারপরও নতুন নেতৃত্ব চেয়েছিলেন বর্তমান কমিটির সদস্যরা। যদিও কেউই তেমন আগ্রহ দেখাননি। পরে সবার সর্বসম্মতিক্রমে আগের কমিটিই বহাল রাখা হয়। অর্থাৎ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও দেব্রবত পাল। অবশ্য এখনো ১৭ পদ ফাঁকা আছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা রয়েছে। সেখানে চাইলে নারীরাও আসতে পারবেন, এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি দুর্জয়, ‘এবার আমরা নারী ক্রিকেটারদের সংযোজন করেছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’

ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করে কোয়াব। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে তারা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিসিবির স্বীকৃতি আছে তাদের। পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। এই সংগঠনের নেতৃত্বে নতুনদের আসতে না চাওয়া শঙ্কা জাগানিয়া। দুর্জয়-দেবব্রতর নেতৃত্বাধীন গত কমিটির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের তারকা ক্রিকেটারসহ অনেকেই। ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কোয়াবের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ সাকিব-নাঈমদের ১১ দাবির প্রথমটিই ছিল কোয়াবের কমিটির বিলুপ্তি। অথচ চার বছর পরও সেই পুরোনো কমিটিতেই আস্থা রেখেছেন ক্রিকেটাররা। নতুন নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আগ্রহী ছিলেন না কেউই। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতেন জানিয়ে দুর্জয় বলেছেন, ‘নতুনরা কেউ এলে আমি খুশি হতাম। নতুনরা কেন আসে না, এটি তারা বলতে পারবে। তাদের প্রশ্নের উত্তর তো আমি দিতে পারব না। আসার জন্য দরজা খোলা ছিল। তাদের আমরা আহ্বান জানিয়েছি। যে কেউ আগ্রহী থাকলে একটা প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা যদি প্রার্থিতা ঘোষণা করত বা আসত, এখনো যদি কেউ আসে, আমরা আবারও চেষ্টা করব তাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।’ অবশ্য সেরকম কোনো কিছু হচ্ছে না, সেটি এজিএমেই প্রকাশ পেয়েছে। আবারও চার বছরের জন্য থাকছে দুর্জয়-দেবব্রতদের কমিটি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com