
রংপুর রাইডার্সের স্পিনার রাকিবুল হাসানের করা বলটি স্লগ-সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটার খাজা নাফে। স্টাম্পে খুব কাছ থেকে বলটি গ্লাভসবন্দি করে অপেক্ষা করতে থাকেন নুরুল হাসান সোহান। শট মিস করে দাঁড়াতে গিয়ে ‘পপিং ক্রিজের’ শূন্যে পা তোলেন নাফে। ঠিক তখনই চোখের পলকে স্টাম্পিং করেন সোহান। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আউটের আবেদন করেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনও সেরে নিলেন। পরে টিভি রিপ্লেতেও নাফের পা ওপরে দেখা যায়। সোহানের চতুরতার কাছে হার মেনে মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রামের এ ওপেনার। একইভাবে না হলেও চট্টগ্রামের নবম ব্যাটার মেহেদি রানাকেও দারুণ এক স্টাম্পিংয়ে সাজঘরে ফেরান সোহান। চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে দুর্দান্ত দুটি স্টাম্পিং করে দলকে জয়ে ফেরান রংপুরের অধিনায়ক। ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রংপুর। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করে তারা। রান তাড়ায় ১২৪ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। অসুস্থ থাকায় ব্যাটিং করা হয়নি দলটির অন্যতম ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুবের। রংপুরের হয়ে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন শোয়েব মালিক। দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরে টেবিলের তিনে জায়গা করে নিল রংপুর। অন্যদিকে টানা হেরে প্লে-অফ নিয়ে শঙ্কা জেগেছে চট্টগ্রামের। শেষ চারে জায়গা করতে হলে পরের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিততে হবে তাদের। কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থান মেনে নিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবু ঘুরে দাঁড়ানোর কথাও বলে গেলেন তিনি।
সর্বশেষ কয়েক ম্যাচে চট্টগ্রামের বড় ব্যর্থতা বিদেশিদের রান না পাওয়া। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৮০ কাছাকাছি রান তাড়া করে জেতা দলটির হঠাৎ এমন ছন্দপতন কেন! ওপেনার উসমান খান সেঞ্চুরির পর থেকে তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। গতকালও একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তৃতীয় বলেই সোহানের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তার সঙ্গী নাফেকেও বুদ্ধিদীপ্ত স্টাম্পিংয়ে ফেরান সোহান। প্রথম দুই ওভারে উদ্বোধনী ব্যাটারদের বিদায়ের পর তিনে আসেন তৌফিক খান। প্রথম বলে মিডঅফে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। চতুর্থ বলে একই জায়গায় ফের ক্যাচ তোলেন তিনি। এবার ফিল্ডার হারিছ রউফ বলটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি। ১১ রান তুলতেই টপ অর্ডার ভেঙে যায় চট্টগ্রামের। দলের বিপর্যয়ে পাঁচে আসেন অধিনায়ক শুভাগত। দারউশ রাসুলির সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। ধাক্কা কাটিয়ে ম্যাচেও ফেরে চট্টগ্রাম। ২১ রান করা রাসুলিকে ফিরিয়ে ৬৬ রানের এ জুটি ভেঙে রংপুরকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রউফ। শুভাগতকে সঙ্গ দিতে এসে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন জিয়াউর রহমান। ২০০ স্ট্রাইকরেটে ১২ বলে ২৪ করা এ ব্যাটারকে ফেরান হাসান মাহমুদ।
অন্যদিকে পরের ম্যাচে ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। কুমিল্লা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে। জবাবে ঢাকা ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করে।