
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অলৌকিক কিছু করতে পারেনি লিভারপুল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হেরেছিল তারা। আর দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ফলে ৬-২ গোলের অগ্রগামিতায় প্রত্যাশিতভাবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে কার্লো আনচেলত্তির দল রিয়াল মাদ্রিদ।
গোলের জন্য মোট ১৭টি শট নেয় রিয়াল। এর মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। মৌসুমের শুরু থেকেই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া লিভারপুলের ৯ শটের ৫টি ছিল গোল বরাবর। ৭৮ মিনিটে হয় ম্যাচের একমাত্র গোলটি। মাঝমাঠ থেকে কামাভিঙ্গার বাড়ানো বল ভিনিসিয়ুসের পা ছুঁয়ে যায় বেনজেমার কাছে। অনায়াসেই বাকি কাজটুকু সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। এই গোলে মাইলফলক ছোঁয়ার রাতটা জয় দিয়ে রাঙাল রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটির এটি ছিল ৩০০তম ম্যাচ। বেনজেমার রেকর্ডও হয়েছে সমৃদ্ধ। লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ৭টি গোল করেছেন ফরাসি এ তারকা। ম্যাচের পর বেনজেমা বলেন, ‘প্রথম পর্বে ওই জয়ের পরও এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। প্রথম থেকেই আমরা শাসন করতে চেয়েছি। আশা করি, সমর্থকরা আমাদের খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছেন। আপাতত নজর রোববারে।’ ওই দিন বার্সেলোনার মাঠে ‘এল ক্ল্যাসিকো’ খেলতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। জিতলে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমানো যাবে। হারলে বার্সেলোনার লা লিগা ট্রফি কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। ম্যাচ শেষে বুধবার রিয়ালের স্টেডিয়ামে বেজে ওঠে ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ গান। তাতে গলা মেলালেন দুই দলের সমর্থকরাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে নাপোলি ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্টকে। দুই পর্ব মিলিয়ে ৫-০-তে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে তারা।