জাতীয় দলের উৎকর্ষকেন্দ্র গড়তে চান হেম্প

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমবার মিরপুরে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিজের পরিকল্পনা শেয়ার করেন এইচপি কোচ ডেভিড হেম্প
জাতীয় দলের উৎকর্ষকেন্দ্র গড়তে চান হেম্প

একাডেমি মাঠে তখন অনুশীলনে ব্যস্ত প্রিমিয়ার লিগের নারী ক্রিকেটাররা। দুপুর হতেই সেখানে প্রবেশ করেন বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প; প্রথমবার এলেন একাডেমি মাঠে। নারীদের অনুশীলন দেখে জানতে চাইলেন, ‘এখানে কী হচ্ছে।’ তখন সঙ্গে থাকা বিসিবির এক কর্মকর্তা জানালেন, ‘নারী প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়রা অনুশীলন করছে।’ অল্প কিছুক্ষণ থেকেই বিসিবি ভবনে ফিরে গেলেন তিনি। বিকেলের দিকে এইচপি চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়ের সঙ্গে একাডেমি ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় পর্ব শেষে গণমাধ্যমে নিজের ভাবনা জানালেন এ বার্মুডিয়ান। এইচপিকে জাতীয় দলের পরিপূরক করার পরিকল্পনা তার। দুই বছরের জন্য এইচপিতে যোগ দিয়েছেন হেম্প।

এবারই প্রথম লম্বা সময়ের জন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়েছে এইচপি, এমনটাই জানালেন দুর্জয়, ‘একজন কোচের অধীনে যত বেশিদিন থাকবে, ওদের (ক্রিকেটারদের) বোঝাপড়াটা ভালো হয়। ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচের ধারণাটা ভালো হয়। কোচের সঙ্গেও বোঝাপড়াটা ভালো হয়।’ হেম্প আজ তার প্রথম কাজ শুরু করবেন ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়ে। এরপর ধাপে ধাপে ফিটনেস, স্কিল ট্রেনিং করাবেন তিনি। এইচপির মূল কাজ ক্রিকেটারদের ওপরের লেভেলে নিয়ে যাওয়া। সেই চ্যালেঞ্জটাই নিচ্ছেন হেম্প, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের উন্নতির জন্য এটি (এইচপি) খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি খেলোয়াড়দের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করতে, যেটা মূলত জাতীয় দলের হয়ে খেলা। আমরা একটা মঞ্চ দিতে চাই, যেখানে খেলোয়াড়রা শিখবে ও বেড়ে উঠবে এবং পরের ধাপ ‘এ’ দলে যাবে। তারপর তারা জাতীয় দলে যেতে পারবে।’ ক্যাম্পের সার্থকতা জাতীয় দলে পৌঁছানোকেই মনে করেন তিনি, ‘এই প্রোগ্রাম থেকে কতজন ক্রিকেটার পরবর্তী ধাপে গেল তা দেখে সাফল্য বোঝা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা যেন এসব দলের আশেপাশে থাকে এবং হারিয়ে না যায়।’

এইচপিতে আছেন এমন অনেকেই বর্তমানে জাতীয় দলের খেলোয়াড়, আবার অনেকেই আছেন যারা জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ। এমন ক্রিকেটারদের নিয়ে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে ও ‘এ’ দলের প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের সমন্বয়ে কাজ করতে চান তিনি, ‘কয়েক মাস আগে হাথুরুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, জেমির সঙ্গে কথা হয়নি; শিগগিরই বলব। তবে এটি কোচদের কিছু নয়, খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিষয়। এখানে দেখার বিষয়, আমরা কীভাবে এটি নিশ্চিত করতে পারি যে, তারা বড় ট্রফির জন্য লড়তে পারে। তিন সংস্করণে র্যাঙ্কিং উন্নতি ও সেরা দশে কতজন থাকে।’ অবশ্য হেম্প এবার সঙ্গে একজন মনোবিদও পাচ্ছেন। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করাই এখন তার বড় চ্যালেঞ্জ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com