ম্যানসিটির শিরোপা উৎসব

স্পোর্টস ডেস্ক
ম্যানসিটির শিরোপা উৎসব

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় আগেই নিশ্চিত করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে ১-০ গোলে হেরে যায় আর্সেনাল। তাতেই তিন ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয় সিটি। রোববার চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইপিএল জয়ের উৎসব করেছে। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ১২ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন জুলিয়ান আলভারেজ।

শনিবার পেপ গার্দিওলার সিটি পঞ্চম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করে আর্সেনাল নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে হেরে যাওয়ায়। সেই ম্যাচ মাঠে বসে দেখেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলাররা। সেদিন তারা আনন্দ করতে পারেননি। রোববার জেতার পর সে সুযোগ আসে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার আনন্দ ভালোভাবেই করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সম্প্রতি লিগে সিটিজেনদের দাপট কতটা সেটাও বুঝিয়েছে। গত ছয় বছরে পাঁচবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ইউরোপের সেরা ৫ লিগ শিরোপা ১১ বার জিতে রেকর্ড গড়েছেন গার্দিওলা।

২০০৮-০৯-এ বার্সেলোনার দায়িত্বে থাকার সময় থেকে শিরোপা জয়ের অভিযান শুরু করেন। কোথায় থামবেন কে জানে। তার পেছনে আছেন ৬ শিরোপা জেতা মেসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রি এবং ৫ শিরোপা জয়ী আন্তোনিও কন্তে। শেষ ছয় মৌসুমে পাঁচবার লিগ শিরোপা জিতে গার্দিওলার কোচিংয়ে আশির দশকের লিভারপুল (১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪) আর অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে (১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০০, ২০০১) ছুঁয়েছে ম্যানসিটি।

চলতি সেশনে ঘরের মাঠে ১০০ গোল করার নজির গড়েছে গার্দিওয়ালার দল। দ্বিতীয় সেরা বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে (৬৬) বেশি করেছে তারা ৩৪ গোল। এবারের মৌসুমে ৬৫ গোল করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোববার ইত্তিহাদে হলান্ডসহ রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের নয়জনকে প্রথম দলে রাখেননি ম্যানসিটির ম্যানেজার। রাখলে হয়তো গোলের পরিমাণ বেশি হতে পারত। ম্যানসিটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি হার মেনে নিয়েছিল। শনিবারই সংবাদ সম্মেলনে ল্যাম্পার্ড বলেছিলেন, ‘ম্যানসিটিই বিশ্বসেরা ক্লাব। ওরা স্বপ্নের ফুটবল খেলছে। ইপিএলের সব ক্লাবের পেপের ফুটবলারদের পারফরম্যান্স দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’ রোববার চেলসির গার্ড অব অনার নিয়ে মাঠে নামেন ম্যানসিটির ফুটবলাররা। ম্যানসিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার ম্যাচ শেষে বলেন, ‘শেষদিকে গানার্স বেশ কয়েক ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট না করলে আমরা হয়তো চ্যাম্পিয়নই হতে পারতাম না। আমাদের ফুটবলাররাও কয়েক বছর ধরে সাফল্য এনে দিচ্ছে। কারণ, এই দলের মান সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই ওয়াকিবহাল। পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করতে সফল হয়েছি। অধিনায়ক ও ম্যানেজার অনুপ্রাণিত করলেও আমরা সবাই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। সাফল্যের শিখরে ওঠা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, এই মানসিকতা নিয়েই মরসুম শুরু করেছিলাম।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com