
প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে গোলশূন্য ড্র হলেই চলত বায়ার্ন মিউনিখের। আর পিএসজির প্রয়োজন ছিল একাধিক গোল। কিন্তু গোল করা তো দূরের কথা, উল্টো একাধিক গোল হজম করেন লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। ফলে দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে হেরে টানা দুই মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল ফরাসি জায়ান্টরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় ইউরোপসেরার মঞ্চের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বায়ার্ন মিউনিখ।
জার্মান জায়ান্টদের মতো শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে এসি মিলানও। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে টটেনহামের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। দুই দলের প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে এসি মিলান।
পিএসজি কোচ গালতিয়ের ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘যখন আমরা সেরা ফুটবলটা খেলছিলাম, তখন গোল করতে পারিনি। এরপর আমরা হাস্যকর একটা গোল খেললাম। দুই লেগেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফুটবলারকে পাইনি। মূলত এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এমন ফল হতাশাজনক; কিন্তু আমাদের হজম করে নিতে হবে।’
ক্রিস্তফ গালতিয়ের পিএসজিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই কথা বলা ঠিক হবে না। মূলত আমার থাকা-না থাকা নির্ভর করে পিএসজির ম্যানেজমেন্ট ও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা আছে, কারণ এই টুর্নামেন্ট থেকে ক্লাবের চাওয়াটাই বেশি ছিল।’ ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমি এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলেছিলাম, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা করতে যাচ্ছি। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ, এটাই সত্য।’ এদিকে এমবাপ্পে-মেসিসহ পিএসজিকে আটকাতে পেরে খুশি বায়ার্ন কোচ জুলিয়ান নাগেলসমান। ম্যাচ শেষে জার্মান এ কোচ বলেন, ‘আমরা আমাদের গেম প্ল্যান দিয়ে পিএসজিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, যার ফলে তাদের ক্রিয়াকলাপ বিকশিত হতে পারেনি। কিলিয়ান এমবাপ্পে যে খুব কম দাঁড়াতে পেরেছিল। তা প্রমাণ করে যে আমরা কাজটা ঠিকভাবে করেছি। আমরা দেখেছি যে মেসি প্রায়ই খুব ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, কিন্তু আমরা এমবাপ্পেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছি।’