টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ২০ ওভারের বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশ নারী দলের ১৩তম হার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৮ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৭২ রান। এরপর ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিয়মিত আসা-যাওয়ায় মেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৬ রানের পুঁজি পায় তারা। রান তাড়ায় ২৫ রান তুলতেই তিন ব্যাটারকে হারায় লঙ্কানরা। চাপে পড়েও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। দিনের আরেক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় ভারত।
ম্যাচের পর বাউন্ডারি হাঁকানোর দুর্বলতাকে সামনে এনেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা, ‘পাওয়ার প্লের সময় আমাদের ব্যাটিং দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু ৬ ওভারের পর আমরা কোনো বাউন্ডারি পাইনি। এরই মূল্য দিতে হয়েছে। আমরা পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লের এ ব্যাটিংটা করে যেতে চাই। বাউন্ডারি মারা নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের।’ পাওয়ার প্লেতে ছক্কা মারতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। ছিল ১০টি চারের মার। এরপর আর কোনো বাউন্ডারির দেখা মেলেনি।
সামনের ম্যাচে এ দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লের এ ব্যাটিংটা করে যেতে চাই। বাউন্ডারি মারা নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। শেষদিকে আমরা উইকেটও বেশি হারিয়েছি।’ তিন উইকেটের সবকটি নেওয়া উদীয়মান পেসার মারুফা আক্তারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত নিগার, ‘মারুফা সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সে মাত্রই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে এসেছে এবং দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা দেখিয়েছে।’ আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। বড় ম্যাচ ঘিরে পরিকল্পনা জ্যোতিদের, ‘আমরা এখন অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে ভাবছি।’