
ব্যাটিংয়ে তখন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। সাম্প্রতিক বিপিএলের সেরা তিনজনের দুজন তারা। ১০ ওভার হতেই মাঠে প্রবেশ করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দুজনের প্রতি পরিষ্কার বার্তা ছিল, স্বাভাবিক ব্যাটিং। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশও পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়। ম্যাচসেরা হওয়া শান্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন জয়ের পেছনের কারণগুলো…
বিপিএলের আত্মবিশ্বাস…
আমরা যারাই খেলেছি আজকে...বিপিএলে যেভাবে ব্যাটিং করেছি বা যেই পরিকল্পনা ও মানসিকতা ছিল, সেটিই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। ওরকম ভিন্ন কিছু কেউই করতে চাইনি। আমি ধারাবাহিক রান করেছি (বিপিএলে)। একজন ব্যাটার হিসেবে যখন ধারাবাহিক রান করব, তখন একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস থাকেই।
সাকিব-হাথুরুর সঙ্গে আলাপ…
ওরকম কিছু বলেননি। আমরা যেভাবে ব্যাট করছিলাম, ওটা ধারাবাহিক করতে বলেছিলেন। আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, একমাত্র উইকেট নিলেই ওরা ফিরতে পারত ম্যাচে। ওই কথাগুলোই হচ্ছিল যেন স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারি।
দলে শামীম-রনির ফেরায়…
আমার মনে হয় দলের পরিবেশ খুবই ভালো। মনে হয় না এতদিন পর তাদের ফিরে আসায় মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়েছে। কারণ, বিপিএলে আমরা খেলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও একসঙ্গে খেলি। এখন যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। ড্রেসিং রুমে আমাদের খুবই ভালো পরিবেশ। আমার মনে হয় না তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে।
ইনট্যান্ট-ইমপ্যাক্ট…
এই সিরিজে একটাই লক্ষ্য ছিল ব্যাটাররা যেভাবে স্বাভাবিক খেলা খেলে, ওভাবেই খেলবে। একদম স্বাধীনতা নিয়ে খেলবে। ইমপ্যাক্ট-ইনট্যান্ট যেটা বললেন, ওটা তো বলার পরের দিনই করা সম্ভব নয়। এটার জন্য একটা সময়ের প্রয়োজন। উইকেট, পরিস্থিতি একেক সময় একেক রকম থাকে। সবাই এমন খেলারই চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মনে হয় এখন ব্যাটাররা অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে। ইমপ্যাক্ট দেখবেন আস্তে আস্তে আরও ভালো জায়গায় যাচ্ছে।
ফিল্ডিংয়ে উন্নতির রেখা…
আমাদের দলের সবাই ফিল্ডিং নিয়ে মনোযোগী। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যার যেখানে থাকা দরকার, সেটা করেছে। তাসকিন, মুস্তাফিজ, হাসানরাও অনেক উন্নতি করেছে। তারাও অনুশীলনে অনেক প্রাণপন চেষ্টা করে। প্রতিদিন বাড়তি ফিল্ডিং অনুশীলন করে। আমরা চেষ্টা করছি স্কোয়াডে যারাই থাকি, সবাই মিলেমিশে ভালো ফিল্ডিং দল হতে। এখনো অনেক উন্নতির জায়গা আছে।
শেষ ১০ ওভারের বোলিং…
শেষের ১০ ওভার আমরা বোলিংয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তখনই আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এসেছে যে, এই রান তাড়া করা সম্ভব। পরে ব্যাটিংয়ে যেভাবে শুরুটা পেয়েছি, তখন থেকেই আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে, যদি দু-একটা জুটি গড়তে পারি, তাহলে খেলাটা আমরা জিততে পারব।
হাসান মাহমুদের পারফরম্যান্স…
আমার মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ স্পেল করেছে। বিপিএলে সে খুব ভালো বোলিং করেছে। হয়তো এই ম্যাচেও আত্মবিশ্বাসটা কাজে দিয়েছে। হাসান, মুস্তাফিজ, তাসকিন শেষে তিনজনই খুব ভালো করেছে। যার কারণে আমরা ওদের ১৫৬-তে আটকাতে পেরেছি।
সিরিজে এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাস…
প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছি, এটা দলকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। আমরা যখন দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে যাব, নতুন করে শুরু করব। এই ম্যাচ জেতার পর আমাদের দলের মোটিভেশন বা চিন্তাভাবনায় অনেক বদল আসবে।