ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও এরপর চমক দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশই তার প্রমাণ। আয়ারল্যান্ডকেও ওয়ানডেতে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোখ এ লঙ্কান কোচের। আজ থেকে শুরু হওয়া সিরিজের আগে দলের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ক্রিকেটারদের বদলে যাওয়ার প্রসঙ্গটা। পাঠকদের জন্য পুরো সংবাদ সম্মেলন তুলে ধরা হলো।
খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিবর্তন
আগের খেলোয়াড়, আগের দক্ষতা। আমার মনে হয় না কিছু পরিবর্তন হয়েছে, শুধু ড্রেসিংরুমের ভেতরে পরিবেশ একটু বদলেছে। কথাবার্তা, আলোচনা বদলেছে। আমি দলের মধ্যে মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাদের এটা নিশ্চিত করতে চাই, ফলাফল যাই হোক, তারা ব্যর্থ হোক; তাদের মূল্য কমে যাচ্ছে না। খেলোয়াড়দের আমরা আগের মতো করেই চাচ্ছি। তাদের দক্ষতা আছে বলেই তো দলে নির্বাচন করা হয়েছে। আমার মনে হয় না আর কিছু পরিবর্তন হয়েছে। অথবা আমি জানি না আগে কী হতো। তবে দক্ষতা আগের মতোই আছে।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগ
আমি জানি না এটা নতুন যুগ কি না। আমি এটাকে নতুন যুগ হিসেবে দেখছি না। আমরা এভাবেই খেলে যেতে চাই। আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে আগেও বলেছি, আগ্রাসী ক্রিকেট মানে এই না ক্রিজে গিয়েই প্রথম বল থেকে জোরে মারা। সবদিক থেকেই আগ্রাসী হতে হবে। সিলেকশন, ফিল্ড প্লেসিং, ফিল্ডিং, বডি ল্যাংগুয়েজ সব কিছুই আগ্রাসী হতে হবে। আগ্রাসন ও স্বাধীনতা নিয়ে খেললে বাংলাদেশ দল সবসময় ভালো করে।
এ সিরিজে চাওয়া
এর (ইংল্যান্ড সিরিজ) চেয়ে বেশি কিছু চাই না। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। আমাদের মতো খেললে আমরা খুবই ভালো দল। ছেলেদের কাছে এখন এটাই চাওয়ার আছে। তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রতিদিনই উন্নতি করছে।
তাহলে আয়ারল্যান্ডও কি ৩-০
নাহ। কোনো ক্রিকেটই এত সোজা নয়। আমরা এটা ক্যারিয়ারের একদম প্রথম দিকে টের পেয়েছিলাম। প্রদর্শনী ম্যাচ খেলাও সহজ নয়। এ কারণেই এই খেলাটাকে আমরা ভালোবাসি। আমরা সব প্রতিপক্ষকে একইভাবে মূল্যায়ন করি। তাদের আমরা সম্মান করি, তবে ভয় পাই না। এটাই আমাদের মন্ত্র। আমরা আমাদের সেরাটাই চেষ্টা করব। সেই দিনটায় তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেললে আমরা তাদের স্যালুট জানাই, তাদের কাছ থেকে শিখি।
চট্টগ্রামের উইকেট
একটু ফ্ল্যাট উইকেট মনে হচ্ছে। তেমন ঘাস নেই। কারণ এখানে অনেক খেলা হয়েছে। আশা করছি স্পোর্টিং উইকেট হবে। তবে তেমন গতি দেখছি না।
বোলারদের ব্যাটিং অনুশীলন
এটা নিয়ে ভিন্ন কোনো ভাবনার কিছু নেই। উইকেট হারিয়ে ফেললে তো তাদেরও ব্যাটিংয়ে যেতে হয়। এ কারণেই করা।
বাদ পড়া আফিফের ফেরার পথ
এ মুহূর্তে সে দলের বাইরে আছে। অন্য কাউকে দল থেকে বাদ পড়লে যা করতে হয় আফিফকেও তাই করতে হবে। তাকে আরও কাজ করতে হবে, রান করতে হবে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে ভালো করলে আর দলে জায়গা খালি থাকলে অবশ্যই দলে ফিরতে পারবে। অবশ্যই সে পারফরম্যান্সের কারণেই দলের বাইরে। চেহারার কারণে নয়। যে কেউ বাদ পড়লে হয় পারফরম্যান্সের জন্য, অথবা কখনো কখনো যদি টেকনিক্যালি আমরা কিছু করতে চাই, অন্য কাউকে বাজিয়ে দেখতে চাই।
সাকিব-লিটনদের আইপিএল
বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো—আগে তোমার দেশের জন্য খেলো। বোর্ড তাদের এই কথা এনওসি চাওয়ার আগে এমনকি আইপিএল নিলামে নাম দেওয়ার আগেই বলেছে। এখনো তা-ই থাকছে। আইপিএল খেললে স্কিলে উন্নতি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অনেক উঁচু মানের টুর্নামেন্ট। তবে দেশের হয়ে খেলাই সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিত।